অনুগল্প || পহেলা বৈশাখে মা -মানিক বৈরাগী
মা ফজরের নামাজের পর পরই
ঘরের চারপাশ আমশরতি,সোনা-রুপা একটি মাটির কলশিতে ডুবিয়ে রাখতো। আমশরতির
চুবিয়ে চুবিয়ে পানি ঝাড়ত ,চুলায় রান্না চাপানোর পূর্বে শুকনা নিমপাতা-ডালের
লাকডি দিয়ে আগুন জ্বালাত। গিরমিতিতা নামক শাকের সাথে বিভিন্ন প্রকার সিমের
দানা১ছই,২ফেলু৩রঙ্গুম্যা চই৪কামরাঙা চই৫ মটর আরোকত কি রান্না করে
খাওয়াত।দুপুরে চালের রুটি দিয়ে শিরনি(পায়েস)খেতাম,ভিন্নিধানের
মধুভাত,পাক্কন পিটা,চইপাক্কন,আতিক্কা পিটা আরো কতকি খেয়েছি।
আমাদের পাড়ার পাশে হিন্দু পাড়া তারপর বিশাল বিল।বিলে ধানকাটা সারা হয়েছে কিছু কিছু। ধানের নাড়া ছাফকরে মেলা বসতো। আমরা সকাল সকাল নতুন রঙিন জামা পড়ে মেলায় যেতাম।
মেলায় হিন্দু মুসলমান কোন ভেদাভেদ ছিলো না।
সেই মাঠ এখন নেই, মাঠে ধান চাষ নেই,নেই কোন মেলা, নেই দাড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি খেলা। মাঠে এখন উঁচু উঁচু দালান।এই দালানের জঙ্গল কে বলা হয় আবাসিক এলাকা।
আবাসিক এলাকায় নতুন নতুন সাহেবি মানুষ,ছোট ছোট গাড়ি করে আসে যায়,সেই গাড়ির ভেতর সাজানো মেমসাহেব দেখাযায়।
আমাদের পাড়ার শিক্কিত নারিরা ওসব জানেনা, করেও না ।হাবিবা খাতুন নেই সোনা-রুপার পানি দিয়ে গোসলও করতে হয়না।
প্রতিটি বৈশাখে মা তোমাকে দারুন ভাবে মিস করছি। প্রতিবছর বাংলা আকবরি সন এলেই আমার মা'কে মনে পড়ে।
আমাদের পাড়ার পাশে হিন্দু পাড়া তারপর বিশাল বিল।বিলে ধানকাটা সারা হয়েছে কিছু কিছু। ধানের নাড়া ছাফকরে মেলা বসতো। আমরা সকাল সকাল নতুন রঙিন জামা পড়ে মেলায় যেতাম।
মেলায় হিন্দু মুসলমান কোন ভেদাভেদ ছিলো না।
সেই মাঠ এখন নেই, মাঠে ধান চাষ নেই,নেই কোন মেলা, নেই দাড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি খেলা। মাঠে এখন উঁচু উঁচু দালান।এই দালানের জঙ্গল কে বলা হয় আবাসিক এলাকা।
আবাসিক এলাকায় নতুন নতুন সাহেবি মানুষ,ছোট ছোট গাড়ি করে আসে যায়,সেই গাড়ির ভেতর সাজানো মেমসাহেব দেখাযায়।
আমাদের পাড়ার শিক্কিত নারিরা ওসব জানেনা, করেও না ।হাবিবা খাতুন নেই সোনা-রুপার পানি দিয়ে গোসলও করতে হয়না।
প্রতিটি বৈশাখে মা তোমাকে দারুন ভাবে মিস করছি। প্রতিবছর বাংলা আকবরি সন এলেই আমার মা'কে মনে পড়ে।